বাঙালির প্রাণ দূর্গাপূজা
শরৎ-এর মুকুটের ন্যায় সজ্জিত,
মহান এই উৎসবের আড়ালে
কত মহৎ কাহিনী নিমজ্জিত।
ফিরিয়া দেখি কিংবদন্তি মহাকাব্য
চির অমর সেই রামায়ণ,
মহাকবি বাল্মীকির নিপুণ কলমের ছোঁয়া
করিয়াছিল মন্ত্রমুগ্ধ সমগ্র জগতবাসীর মন।
পাপের প্রাবল্যে জর্জরিত হইয়াছিল সমাজ
রাক্ষসরাজ রাবনের পরাক্রমে,
তাহারে দমন হেতু নারায়ণ অবতার
শ্রী শ্রী রামচন্দ্র, অবতীর্ণ হইয়াছিলেন এ ধরাধামে।
পাপ ও পূন্যের সেই মহাসংগ্রামে
বলিদান হইয়াছিল কত যে প্রান।
তবুও রাক্ষসরাজ রাবণ অপরাজেয়,
রক্ষাকবচ ছিল যে তাহার মহাদেবের বরদান।
রামচন্দ্র করিয়াছিলেন শরতকালে অকালবোধন
রাক্ষসরাজ রাবণরে বধিবার তরে,
এ জগতকে আলোয় আলোকিত করিয়া
দশভূজা, মা দূর্গা আসিয়াছিলেন ঘরে।
মহাশক্তির প্রদান করা ক্ষমতা ও জ্ঞ্যান
হইয়াছিল রামচন্দ্রের ব্রক্ষাস্ত্র,
অবশেষে রাবণের ঘটিয়াছিল বিনাশ,
পাপমুক্ত হইয়াছিল এ জগৎ সমস্ত।
আজও শুভ মহালয়ার শারদপ্রাতেঃ
শুরু হইয়া যায় তোমার শুভ আহ্বান,
হে আনন্দময়ী মা তোমার পবিত্র আগমন
পরম আনন্দে পরিপূর্ণ করে মোদের মনপ্রাণ।
হে জগজ্জননী, তোমার এই বিশ্বরূপ
অসাধারণ এর চেয়েও অসাধারণ,
বাঙালির মনপ্রাণ জুড়িয়া সর্বদা তুমিই বিরাজমান
তুমিই মোদের ধ্যান-জ্ঞ্যান, সর্বকাল ও সর্বক্ষণ।
সমাজের এ বৈষম্য, ভেদাভেদ থাকুক যতই,
তোমার দীপ্তিমান উপস্থিতিতে হইয়া যায় সবই লীন।
বাঙালির প্রাণের উৎসব দূর্গাপূজা,
আবেগপূর্ণ ও সর্বজনীন।
What do you think?
It is nice to know your opinion. Leave a comment.